প্রত্যেক ভারতীয় সমৃদ্ধশালীকে গড়ে তোলার পথ সীমিত ও শক্তিশালী সরকারের মাধ্যমে হয়, যারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা করে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা করে, আইনের শাসন পালন করে এবং মুক্ত বাজারকে প্রচার করে।


রাজেশ জৈন

রাজেশ জৈন একজন টেক উদ্যোগপতি। এশিয়ার ডটকম বিপ্লবের পথিকৃত। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিনি ভারতের প্রথম ইন্টারনেট পোর্টাল নিয়ে আসেন। এরপর নিজের সংস্থা খোলেন তিনি। যা এখন ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি। রাজেশ এখনও উদ্যোগপতি, তবে এবার ভিন্ন রাস্তার পথিক তিনি। আর সেই রাস্তা হল দেশ গড়ার রাস্তা। রাজেশের বিশ্বাস, ভারত এখন পরিবর্তনের মুখোমুখি। আর এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রত্যেককে রাজনৈতিক উদ্যোগপতি হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে।

***

রাজনৈতিক উপাচার্য

Dhan Vapasi, an initiative by Rajesh, is a political platform for making Indians prosperous.

রাজেশের পলিটিকাল টেক ভেঞ্চার নীতি ডিজিটাল,নীতি ডিজিটাল।,২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোট প্রচারে ইন্ধন জুগিয়েছিল পলিটিকাল। দু বছর ধরে এতে প্রায় শখানেক লোক কাজ করেন। নির্বাচনী পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ (IndiaVotes.com) এবং ডিজিটাল মিডিয়া (NitiCentral.com) রয়েছে এর অধীন। এছাড়াও রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী একটি মঞ্চ (India272.com)। জুন ২০১১-এ emergic.org ব্লগ পোস্টে “Project 275 for 2014”-র সূচনা করেন রাজেশ। বিজেপির জন্য প্রথম খোলাখুলি ডিজিটালি প্রচারাভিযান শুরু করেন রাজেশ।

উদ্যোগপতি হিসাবে কাজ।

এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হলেন রাজেশ নেটোকোর সলিউশন ইমেল, মোবাইলে রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন করে থাকে এই সংস্থা, সঙ্গে মাল্টি চ্যানেল মার্কেটিং অটোমেশন, কোনও সংস্থার জন্য ক্যাম্পেন ম্যানেজমেন্ট করে থাকে নেটকোর। নেটকোর হাজার দুয়েক ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে পরিষেবা দেয়। মাসে ১০ বিলিয়ন মেসেজ চালাচালি হয়।

রাজেশের শুরুর দিকে ছিল, ভারত বিশ্ব কম্যুনিশন,১৯৯৫ সালে যে সংস্থা বাজারে আসে। পরে ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে তা অধিগ্রহণ করে সত্যম ইনফোওয়ে। সেই সময়ে এই অধিগ্রহণের মূল্য ছিল ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এশিয়াতে ইন্টারনেট লেনদেনে সর্বোচ্চ। ভারত কেন্দ্রীয় ওয়েবে ঠাসা ছিল ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড। ছিল Samachar (খবর), Khel (ক্রিকেট), Khoj (সার্চ) এবং Bawarchi (খাবার)।

শিক্ষা

বম্বের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ১৯৮৮ সালে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিটেক করেন রাজেশ। এরপর ১৯৮৯ সালে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমএস। ভারতে ফেরার আগে বছর দুয়েক আমেরিকার NYNEX সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মূলত ১৯৯২ সালে নিজের সংস্থা খোলার জন্যই দেশে ফিরে আসেন রাজেশ।

স্বীকৃতি

তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় গোটা দেশ রাজেশকে লিডার হিসেবে কুর্নিস করে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে বক্তৃতার জন্য ডাক পড়ে তাঁর। টাইম (২০০০) এবং নিউজ উইকে(২০০৭) তাঁকে নিয়ে কভার স্টোরি হয়েছিল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইকনমিক টাইমস রাজেশকে “one of India’s Best Strategists” আখ্যা দেয়।

***

রাজেশের জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:


ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড- যা ভারতে ডটকম বিপ্লব এনেছিল। ১৯৯৫ সালের মার্চে রাজেশ ভারতের প্রথম ইন্টারনেট পোর্টাল লঞ্চ করেছিল। সেটাই পড়ে সর্ববৃহত্ হয়ে দাঁড়ায়। সত্যম ইনফোওয়ে (পরে Sify) তা অধিগ্রহণ করে। ২০ জন কর্মচারী নিয়ে চলা এই সংস্থা বিক্রি হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকায়। নিরানব্বইয়ের নভেম্বরে এই অধিগ্রহণ চুক্তি এশিয়ার সবচেয়ে বড় চুক্তি।

টাইম ও নিউজ উইক ম্যাগাজিনের কভার স্টোরি মার্চ ২০০০-এ এশিয়ার সবথেকে বড় ইন্টারনেট বুমের স্টোরি করতে গিয়ে রাজেশকে তুলে ধরে টাইম। আর ২০০৬-এর ফেব্রুয়ারিতে রাজেশের ১০০ কোটির কম্পিউটার প্রোজেক্ট নিয়ে স্টোরি করে নিউজউইক।

রাজেশ কী করে রাজনৈতিক উদ্যোগপতি হয়ে উঠলেন- একটি প্রশ্ন, যা তাঁর জীবনকে বদলে দিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় রাজেশের এই আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল ২০০৮ সালে। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, “তোমার ছেলে যখন বড় হয়ে তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, বাবাস ভারতে যাই হচ্ছে দেখেছো কেমন খারাপ? তোমার সময় আছে টাকা আছে। ওগুলো নিয়ে কেন কিছু করলে না? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে তোমার কাছে?” এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে খুঁজতে রাজেশ রাজনৈতিক উদ্যোগপতির সত্ত্বায় ফিরে যান। কীভাবে ভারতকে উন্নতিশীল বানানো যায়, সেই খোঁজে নেমে পড়েন তিনি।

প্রযুক্তি ও রাজনীতির প্রথম ধাপ- বন্ধু থেকে বিজেপি থেকে নীতি ডিজিটাল। ২০০৯ সালের শুরুতে রাজেশ একটি পলিটিক্যাল অ্যাকশন গ্রুপ বানিয়ে ফেলেন। এই গ্রুপে ছিলেন বিজেপির বন্ধুরা। শহুরে মধ্যবিত্তকে কীভাবে বিজেপির দিকে ঝোঁকানো যায়, সেই কাজ করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালে রাজেশ শ্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। রাজেশই মোদিকে বলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান, ২০১৪ সালে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করতে চান। ২০১১ সালে রাজেশ পাবলিক ব্লগ পোস্ট লেখেন, “Project 275 for 2014”। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কীভাবে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সে ব্লগে সেটাই লেখাছিল। এরপর নীতি ডিজিটালে ১০০ জনকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন রাজেশ। মোদির প্রচারকে ঘিরে পরিসংখ্যান, মিডিয়া ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জোরদার ব্যবস্থা হয়েছিল।

২০১১ সালেই ২০১৪ নির্বাচনের আভাস- বিজেপির মিশন ২৭২+-এর গোপন কথা। প্রজেক্ট ২৭৫ ফর ২০১৪। ২০১১ সালের জুনে রাজেশ তাঁর এই ব্লগ পোস্টে লিখেছিলেন, কেন্দ্রে বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে ১৭৫ আসনেই আটকে থাকলে চলবে না বরং ২৭৫টি আসনের (কিংবা ২২৫+ ৪৫ এনডিএ সহযোগী) কথা ভাবতে হবে। ১৭৫টি আসনে জিততে যা করতে হবে, ২৭৫টি আসন জিততে কিন্তু আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। ৩৫০ আসনের মধ্যে ২৭৫ আসনে জয়, বিজেপিকে নির্বাচনী ঢেউয়ের মধ্যে ৭৫ শতাংশ হিট রেট করে দেখাতে হবে। ফরে ভবিষ্যত্ চেষ্টার দিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। রাজ্য নির্বাচনগুলির কথা মাথায় রাখলে বিজেপি শুধুমাত্র ১৭৫টি আসন পেতে পারে। আর যদি কংগ্রেস ১৫০টি আসন জিতে যায়, তাহলে আর গেরুয়া শিবিরের কিছু করার থাকবে না। এইরকম একমুখী নির্বাচন শেষবার হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। গোটা দেশেই ২০১৪ সালে বিজেপির সেরকম ঝড় তোলা প্রয়োজন। বিশেষ করে ৩৩০-৩৫০টি আসনে তো বটেই। কারণ ওই আসনগুলিতেই হবে জোর টক্কর। জোটসঙ্গী না বাড়িয়ে বরং সিট সংখ্যা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বিজেপির। মনে করিয়ে দিই, মে, ২০১৪-তে কিন্তু বিজেপি ২৮২ আসনে জিতেছিল।

ডেটার প্রতি ভালবাসা- Khel.com এবং IndiaVotes.com। ১৯৯৭ সালে রাজেশই প্রথম দেশে ক্রিকেট সাইট তৈরি করেন। সবকটি ক্রিকেট ম্যাচের লাইভ কভারেজ ছাড়াও, সবকটি টেস্ট, ওয়ান ডে ও রঞ্জির বিপুল তথ্য ও পরিসংখ্যান রাখা ছিল এই সাইটে। এর আগে ক্রিকেট নিয়ে এমন কাজ হয়নি। এই একইভাবে নির্বাচনী সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে ২০১২ সালে লঞ্চ করেছিল IndiaVotes.com। প্রত্যেকটি জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের নির্বাচন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান ডিজিটাইসড করা হয়।

The journey from Niti Digital to Dhan Vapasi:
Rajesh spent time in the past years reading, talking to people and thinking – to understand a very basic question: why are Indians not rich? The answer was simple but non-intuitive: Indians have too much government, and too little freedom. Governments do not create prosperity; people do.Unfortunately, all governments have essentially been the same – they all focus on growing the size and scope of the government; their only difference lies in the packing and selling. In India, constraints are put on individuals while giving a free hand to governments – exactly the opposite of what is needed to make Indians prosperous.

রাজেশের বিশ্বাস- পরিকল্পনা হোক বড়। রাজেশ নিজেকে রাজনীতিবিদ ভাবেন না, বরং এখনও উদ্যোগপতি ভাবতেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ। প্রযুক্তি আর রাজনীতিতে- রাজেশ বড় জিনিস ভাবায় বেশি আগ্রহী। ড্যানিয়েন বার্নহামের একটি বক্তব্য তিনি মনে রাখেন, কোনও ছোট পরিকল্পনা কোরো না। মানুষের রক্তে সেই ধরণের কোনও পরিকল্পনা আগুন জ্বালায় না। এমনকি তারা নিজেরাও মাঝেমধ্যে নিজেদের উপলব্ধি করতে পারে না। তাই বড় ভাবো। আশা আর কাজের সঙ্গে লক্ষ্য রাখো উঁচুতে। ”

Rajesh’s next goal: making Indians prosperous. Rajesh has done a few impossible things in his life for himself. This time through Dhan Vapasi, he wants to do it for 130 crore Indians.

আপনি রাজেশকে লিখতে পারেন। rajesh@nayidisha.com.